মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই দেশই সীমান্ত সংঘর্ষ নিরসনে ‘তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় আনোয়ারের সরকারি বাসভবনে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের মধ্যে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী দেশ মালয়েশিয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) কম্বোডিয়া এবং থাই পক্ষের আঞ্চলিক কমান্ডারদের একটি বৈঠক ডাকবে দেশ দুটি।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের দক্ষিণে পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বৈঠক করেছেন।
থাই এবং কম্বোডিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, উভয় পক্ষই সর্বশেষ সীমান্ত উত্তেজনা শুরু করার জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে এবং চলমান লড়াইয়ের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে, যার ফলে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। তাদের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ কয়েক দশক ধরে চলে আসছে।
মালয়েশিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রাষ্ট্রদূতরাও উপস্থিত ছিলেন।
আনোয়ার বলেন, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে মালয়েশিয়া নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রাখছে এবং এ প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা নেতৃত্বের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হয়েছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৭০,০০০-এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এর আগে সোমবার এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানান, থাইল্যান্ডের সঙ্গে সংঘর্ষে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি অর্জনই এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।
তবে ব্যাংকক ছাড়ার আগে থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম সাংবাদিকদের বলেন, কম্বোডিয়ার কার্যক্রম দেখে আমাদের মনে হয় না তারা আন্তরিকতার সঙ্গে এগোচ্ছে। তাদের সদিচ্ছা দেখাতে হবে এবং বৈঠকে আমরা তা পর্যবেক্ষণ করব।